শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট: মেক্সিকো উপকূলে ধরা পড়ল ওর ফিশ। ফার্নান্দো কেভালিন ও ডেভিড জাবেদোরস্কি নামের দুই যুবক মাছটিকে আবিষ্কার করেন সৈকতের একেবারে কিনারে। এত লম্বা মাছ, দুজনে দুই দিক ধরে ছবিও তোলেন তারা। তার পর মাছটিকে সমুদ্রে ছেড়ে দেন ফার্নান্দো ও ডেভিড। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ছড়িয়েছে ত্রাস। ২০১১ সালে জাপানের সুনামির স্মৃতিকে সামনে এলো মেক্সিকো উপকূলে ধরা পড়া ‘দৈত্যাকার মাছ’ ওর ফিশ। এই মাছটি ‘ভূমিকম্পের মাছ’ বলে পরিচিত। উপকূলে ওর ফিশ উঠে আসায় সুনামির মতো ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের আশঙ্কায় স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
১৩ ফুট লম্বা সামুদ্রিক মাছটি আসলে ‘ওর ফিশ’। মুখটা অনেকটা হাঙরের মতো। গায়ের রং রুপালি। উপকূলে খুব একটা দেখা যায় না এদের। আর সে কারণেই বোধহয় সমুদ্র সৈকতে এর আবির্ভাব অশনি সংকেত বলে ধরে নেওয়া হয়। যেমন, ২০১১ সালের মার্চ মাসে জাপানে ভয়াবহ কম্পন আর সুনামির আগে নাকি সৈকতে দেখা গিয়েছিল এই ওর ফিশ। তার পর থেকেই তার নাম হয়ে যায় ‘ভূমিকম্পের মাছ’। রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রা ভূমিকম্পের সেই বিপর্যয়ের কথা এখনো ভুলতে পারেননি অনেকেই। সমুদ্রের ৪০ মিটার উচ্চতার ঢেউ ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল অনেকগুলো দ্বীপ। নিমেষের মধ্যে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। সেই বিপর্যয় সামলাতে অনেকটা সময় লেগেছিল জাপানের। ৯ বছর পর ফের সেই স্মৃতিকে উসকে দিল মেক্সিকো উপকূলে ধরা পড়া ওর ফিশ। ফার্নান্দোর মতে, এই মাছ নাকি প্রোটিনে পরিপূর্ণ। অন্যান্য অঙ্গও বেশ কার্যকর। তা সত্ত্বেও এই মাছের আবির্ভাব অশুভ বলেই মনে করে স্থানীয় মানুষ। এই মাছটি দেখে স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেই বলছেন, এত বছর পর আবার প্রবল কম্পন আর সুনামিতে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সময় কী আসন্ন?